| বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 218 বার পঠিত
রোপা-আমন মৌসুমকে সামনে রেখে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নন্দনপুরে বসেছে ধানের চারার সর্ববৃহৎ হাট। প্রতিদিনই ভোর থেকে দুপুর গড়িয়ে বিকাল পর্যন্ত নিম্নাঞ্চলের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা হাট থেকে তাদের চাহিদা মত বিভিন্ন জাতের ধানের চারা বেপারিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে ভিড় করছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় জেলার চাহিদা মিটিয়েও পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জ, নরসিংদী থেকে চাষীরা তাদের চারা নিতে দেখা যায়।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে বীজতলা তৈরি হওয়ায় চারা নিয়ে কোন চিন্তা নেই । চলতি মৌসুমে জেলার ৫১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবাদ কার্যক্রম সফল করতে জেলায় দুই হাজার ৮৩২ হেক্টর জমিতে আমন বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নন্দনপুরে ধানের চারার এ হাটে খাসা, নাজিরশাইল, বীনা-৭, বিআর-২২ ও গাইন্ধার চারা উল্লেখযোগ্য। প্রতি আটি ধানের চারা ৮০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রাক্ষণবাড়িয়াসহ আশ-পাশের জেলা থেকে খুচরা ও পাইকারি ক্রেতারা আসছেন চারা নিতে। প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার চারা বিক্রি হয় এই হাটে।
চারা বিক্রেতা বেপারি কুদ্দুস মিয়া বলেন, বেচাকেনা ভালই হচ্ছে। তবে বীজসহ শ্রমিকের বেতন বেড়ে যাওয়ায় তা আগের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে আমাদের আগের মত পোষায় না। তবুও মৌসুমী ব্যবসা হিসেবে তা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।
মাধবপুর থেকে আসা কৃষক রফিক মিয়া বলেন, এই বাজারে ধানের চারার গুণগত মান ভালো। আমরা প্রতিবছর এখান থেকে চারা কিনে নিয়ে যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল পরিবহন খরচ অনেক কম পড়ে।
কৃষি বিভাগ জানায়, মানসম্পন্ন চারা উৎপাদনের লক্ষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেয়া হয়েছে। চারার সংকট মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে বীজতলা তৈরির পাশাপাশি মান সম্পন্ন চারা উৎপাদনে সহযোগীতা করা হচ্ছে। জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭৬ হেক্টর বেশি জমিতে আমন বীজতলা তৈরি হয়েছে।
Posted ৬:৫৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
manchitronews.com | Pabitra talukder