| বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট | 131 বার পঠিত
ছোটপর্দায় নিজেকে প্রমাণ করেছেন অনেক আগেই। এখন বড়পর্দা ও ওয়েব মাধ্যমের কাজেই মনোযোগী অভিনেত্রী।সিনেমার পর্দাবা ওয়েব প্ল্যাটফর্ম– যখনই নতুন কোনো কাজ নিয়ে হাজির হন, দর্শক তা সাদরে গ্রহণ করেন। বলছিআজমেরী হক বাঁধনের কথা। নেটফ্লিক্সে আজ মুক্তি পাচ্ছে তাঁর অভিনীত প্রথম হিন্দি ওয়েব ফিল্ম ‘খুফিয়া’। এ সিনেমার মাধ্যমেই শুরু হলো বাঁধনের বলিউডযাত্রা। বলিউডের খ্যাতিমান নির্মাতা বিশাল ভরদ্বাজসিনেমাটি নির্মাণ করেছেন। সিনেমায় শুধু বাঁধন নন, থাকছেন টাবু, আলি ফজলের মতো বড় অভিনেতা।
বলিউডযাত্রা শুরু হলো,কেমন লাগছে? জবাবে বাঁধন বললেন,“আমার কাছের মানুষ, কলিগ, বন্ধু, পরিবারের সবাই অনেক এক্সাইটেড ‘খুফিয়া’ নিয়ে। অনেক ভক্তট্রেলারশেয়ার করছেন। সব মিলিয়ে ভালো লাগছে।আনন্দের সঙ্গে ভয়ও হচ্ছে। এটি বড়প্ল্যাটফর্ম ওবড় একজন নির্মাতার [বিশাল ভরদ্বাজ] কাজ।সহশিল্পী নন্দিত অভিনেত্রী টাবু। তাঁর সঙ্গে আমাকে দেখতে কেমন লাগবে, এখানে আমার স্ক্রিন টাইম কম, কাজটি দর্শকের কতটা পছন্দ হবে– এসব ভেবে।
আমার চরিত্রটি ছোট হলেও গুরুত্বপূর্ণ। কাজটির সঙ্গে যখন যুক্ত হয়েছিলাম, তখন থেকেই খুব আগ্রহ নিয়ে দর্শক অপেক্ষা করছিল এটি দেখার। দু’বছর অপেক্ষার পর সিনেমাটি আসতে চলেছে। দর্শক এটি কীভাবে গ্রহণ করে সেটিই এখন দেখার বিষয়।”গত বছরের আগস্টের শেষের দিকে খুফিয়ার টিজার প্রকাশের পরই বাঁধনআবারও আসেনআলোচনায়। এতে কাজ করতে গিয়ে অনেকঅভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। তৈরি হয়েছে নানা গল্প, যা ধীরে ধীরে বলেছেন এই অভিনেত্রী।
পরিচালক, সহশিল্পীওনেটফ্লিক্সের কর্তাদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেএঅভিনেত্রী বলেন, “পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজঅসম্ভব ভালো ও বিনয়ীমানুষ। শুধু শিল্পী নন, মানুষকে কীভাবে সম্মান করতে হয়,সেটি তিনি খুব ভালো জানেন। তাঁর নির্দেশনায় কাজ করাই আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জের ছিল।নির্মাতা শুটিংয়ের শুরুতেই সবাইকে বলে দিয়েছেন– ‘ওঁ কিন্তু আমাদেরদেশের মেহমান। এখানেএকা এসেছেন কাজ করতে। সেভাবেই সবাই সহযোগিতা করবে। আর টাবুর অনেক বড় ভক্ত আমি।
যে মানুষটিকেভালোলাগার জায়গা থেকে দেখি, তাঁর সঙ্গে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। তাঁর মতো একজন সহযোগিতাপরায়ণ শিল্পী পেয়েছি বলে আমার অভিনয় সহজ হয়েছে। তাছাড়া ইউনিটের সবাইআমাকে খুব সম্মান ও স্নেহকরেছেন। তাদের দেখে মনে হয়েছে, মানুষ যত বড় হয় ততই মাটির দিকে নুয়ে থাকে। এটি আমি আরও একবার দেখলাম। এটাই তাদের চর্চা। নেটফ্লিক্সের কর্তাদের পেশাদারিত্বও আমার ভালোলেগেছে।”
আমাদের দেশের ওটিটি মাধ্যমের কাজ নিয়ে আশার কথা শোনালেন বাঁধন। এই অভিনেত্রী বলেন, “দেশে অনেকআন্তর্জাতিক মানের কাজ হচ্ছে। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’সহ আরও কয়েকটি ছবিপ্রমাণ করেছে, স্বল্প বাজেটে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও আন্তার্জাতিক মানের কাজ করা সম্ভব। নুহাশ হুমায়ূন,রবিসহ অনেকই ভালো কাজ করছেন। আমাদের এখানে প্রতিভাবান ছেলেমেয়ে আছেন। তবে ওই অর্থেকারিগরি সাপোর্ট নেই। কারিগরিসাপোর্টের সঙ্গেভালোবাজেট হলে কাজআরও ভালোহতো বলে আমি মনে করি। বর্তমানে যে কাজ হচ্ছে, তা অবশ্যই আশার আলো জাগাচ্ছে। এখন যেহেতু কোনো গণ্ডি নেই, এটি একটি সুবিধা। একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জিংও।
চাইলে ওটিটিতে কাজের মাধ্যমে সব প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি। এটি মাথায় রেখে যারা কাজ করছেন, তারা ভালোই করছেন।”আপাতত নতুনকোনো সিনেমা হাতেনেই বাঁধনের। ‘খুফিয়া’ নিয়ে প্রচারণায় সময় কাটছে এই তারকা অভিনেত্রীর। আবারও চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে চান তিনি। অপেক্ষায় রয়েছেন ভালো গল্প ও চরিত্রের।সে রকমকোনো কাজ পেলে সবাইকে জানাবেন জাতীয় চলচ্চিত্রপুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী। এখন অভিনয়ের ব্যস্ততা কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। এ কারণে সময়কে নানাভাবে ভাগ করে নিয়েছেন। বই পড়ে,সিনেমা দেখে সময় কাটছে তাঁর। নতুন নতুন বিষয় শিখছেন। শিখেছেন সাতাঁর,ড্রাইভিং।নতুন কিছু শিখলে তাঁর মন ভালো থাকে,এমনটিই জানালেন বাঁধন।
Posted ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩
manchitronews.com | Pabitra talukder