হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী এটা কমবেশি সবারই জানা। অনেক বিশেষজ্ঞরাও হলুদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাদের কথায়, এই ভেষজে এমন কিছু উপকারী উপাদান আছে যা একাধিক রোগব্যাধি থেকে শরীরেকে মুক্ত করতে সাহায্য করে। এ কারণে শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত এই ভেষজ খাওয়া উপকারী।

হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এমনকী রক্তনালীতে প্লাক বা নোংরা জমতেও বাধা দেয় এই উপাদান। তাই নিয়মিত হলুদ খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। হলুদে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়। হলুদে নানা ধরনের অ্যান্টিডায়াবেটিক উপাদান রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত এই ভেষজ খেলে উপকার পাবেন। এমনকী সুগার প্রতিরোধ করতে চাইলেও রোজ হলুদ খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।

শুধু তাই নয়, ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতেও নিয়মিত খেতে পারেন এই ভেষজ। এছাড়া আইবিএস-এর মতো পেটের সমস্যা দূর করতেও হলুদ বেশ উপকারী।

কাঁচা না শুকনো হলুদ, কোনটা উপকারী?​

পুষ্টিবিদ শর্মিষ্ঠা রায় দত্তের মতে, কাঁচা হলুদ ও শুকনো হলুদের মধ্যে পুষ্টিগুণ বিবেচনা করলে কাঁচা হলুদকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখতে হয়। কারণ হলুদ শুকিয়ে গেলে তাতে কারকিউমিনের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। বিশেষ করে, রান্নায় ব্যবহৃত হলুদ গুঁড়োতে কারকিউমিনের মাত্রা থাকে খুবই কম। সেই তুলনায় কাঁচা হলুদে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মজুত রয়েছে। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত কাঁচা হলুদ খাওয়া অভ্যাস করুন।

দিনে কতটা হলুদ খাবেন?​

একজন সুস্থ-সবল ব্যক্তি দিনে হাফ থেকে এক ইঞ্চি কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেতে পারেন। কিংবা সম পরিমাণ হলুদ ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে পানি দিয়ে গিলে খেতে পারেন। এতে একাধিক উপকার পাবেন। তবে একবারে বেশি পরিমাণে হলুদ খাওয়া ঠিক নয়। তাতে টক্সিসিটির আশঙ্কা বাড়ে।