ভারতের এক মর্মান্তিক ঘটনায় মাত্র ৪০ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন শঙ্কর নামের এক ব্যক্তি। তিনি শনিবার অফিসে অসুস্থতার জন্য ছুটি চেয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বার্তা পাঠানোর মাত্র ১০ মিনিট পরই তিনি মারা যান বলে সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে গালফ নিউজ। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, শঙ্কর ছয় বছর ধরে একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার কে ভি আইয়ার জানিয়েছেন, শঙ্কর ছিলেন সুস্থ ও সবল, ধূমপান বা মদ্যপান করতেন না। বিবাহিত শঙ্করের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।শঙ্কর ঘটনার দিন স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩৭ মিনিটে ম্যানেজারকে এক বার্তায় বলেন, ‘স্যার, তীব্র পিঠের ব্যথার কারণে আজ আসতে পারব না। অনুগ্রহ করে ছুটি মঞ্জুর করুন।’ ম্যানেজার আইয়ার উত্তরে তাকে বিশ্রাম নিতে বলেন। তবে মাত্র ১০ মিনিট পর শঙ্কর হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সকাল ১১টার দিকে শঙ্করের মৃত্যুর খবর আইয়ারের কাছে পৌঁছয়। আইয়ার এক্সে লিখেছেন, ‘একজন মানুষ পুরোপুরি সচেতন অবস্থায় মৃত্যুর মাত্র ১০ মিনিট আগে আমাকে মেসেজ দিয়েছে। আমি ভেঙে পড়েছি।জীবন অনিশ্চিত, তাই সবার প্রতি সদয় হন। আনন্দে বাঁচুন, কারণ পরের মিনিটে কি হবে কেউ জানে না।’ এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, পিঠে ব্যথা, ক্লান্তি, বমিভাব বা ঘামের মতো অস্বাভাবিক উপসর্গ হৃদরোগের প্রাথমিক সংকেত হতে পারে। যা প্রায়ই হজমের সমস্যা বা মাংসপেশির ব্যথা বলে ভুল করা হয়। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘জীবন সত্যিই অনিশ্চিত, অথচ আমরা তুচ্ছ কারণে লড়াই করি। তার আত্মার শান্তি কামনা করি।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘মর্মান্তিক! আমরা এখন এই ধরনের ঘটনা আরো ঘন ঘন শুনতে পাচ্ছি। বিশেষ করে ৩৫-৪৫ বছর বয়সীদের মধ্যে, এমনকি যারা নিয়ম মেনে চলে, তাদের মধ্যেও। আমরা আসলে কী এড়িয়ে যাচ্ছি?’আবার অনেকেই কোভিড পরবর্তী যুগে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে বলে সতর্ক করেছেন। কেউ কেউ লিখেছেন, দেশে এ ধরনের অসংখ্য ঘটনা ঘটছে। এমনকি অনেক সময় তা সিসিটিভিতেও ধরা পড়ছে। তারা সরকার ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এ সমস্যাকে জরুরি অবস্থা হিসেবে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে প্রথম ৬০-৯০ মিনিটের মধ্যে চিকিৎসা পেলে বাঁচার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। যা অস্বাভাবিক হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।