| শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট | 87 বার পঠিত
পৃথিবীর শীর্ষ ধন কুবের ইলন মাস্ক। যার জিম্মায় আছে জনপ্রিয় ইলেকট্রিক গাড়ি টেসলা। এছাড়াও তিনি স্পেস এক্সেরও মালিক। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা স্টার লিংকও ইলনের প্রতিষ্ঠান। এই মার্কিন প্রযুক্তিবিদ চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে একপক্ষের পাশে দাঁড়িয়ে বিতর্ক কুড়িয়েছেন।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ আবহে বড় ঘোষণা করলেন ইলন মাস্ক। ইসরায়েলিদের জন্য মূল্যবান পরিষেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়ার কথা জানালেন তিনি। টুইট করে তিনি বলেন, শান্তিপ্রিয় মানুষদের সাহায্য করতে চাই। যদিও তার এই সিদ্ধান্তে বিতর্কও তৈরি হয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সংঘাতের ফলে সংকটের মুখে পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। বর্তমান সময় যে জিনিসটি ছাড়া মানুষ এক মুহূর্ত থাকতে পারে না, তা হল বিদ্যুৎ। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতির ফলে বিদ্যুৎ পরিষেবায় বড় সড় প্রভাব দেখা গিয়েছে। যার ফলে বহু মানুষ তাদের গাড়ি চার্জ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন।
এই পরিস্থিতিতে নাগরিকদের সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন ইলন মাস্ক। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের নাগরিকদের গাড়ি চার্জ করার জন্য কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যাবে এই পরিষেবা। বর্তমানে ইজরায়েলে একটা বড় অংশের মানুষ বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার করেন। ওই দেশে ২২টি সুপারচার্জার স্টেশন রয়েছে টেসলার।এই প্রত্যেকটি সুপারচার্জার একদম বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন ইসরায়েলের নাগরিকরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অটোমোবাইল সংস্থা টেসলা। যারা মূলত বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়িরই কেনা-বেচা করে। বিশ্বের সবথেকে মূল্যবান অটোমোবাইল সংস্থা এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক হল টেসলা।
ইউরোপ, আমেরিকা ছাড়াও এশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করে ইলন মাস্কের এই প্রতিষ্ঠান। মাস্কের এই সিদ্ধান্তে অনেকে সাধুবাদ জানালেও বেশ কিছু বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এক টুইটার ব্যবহারকারী ইলন মাস্ককে প্রশ্ন করেন, আপনি ইজরায়েল টেসলা সুপারচার্জার ফ্রি করতে পারেন। কিন্তু গাজার মানুষদের জন্য কিছু মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিস পাঠাতে পারেন না!। এর উত্তরে তিনি বলেন, গাজায় যারা শান্তি চায় তাদের সাহায্য করতে চাই। কিন্তু তা করার কোনো উপায় নেই। সাধারণভাবে আমি চাই জাতি, ধর্ম সবকিছু নির্বিশেষে মানুষ সুখী ও সমৃদ্ধ হোক।
Posted ৯:৩৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩
manchitronews.com | Pabitra talukder