হাঁটা হাঁটি পা পা করে উন্নয়নের অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ। উদ্বোধন হলো পদ্মা সেতু, দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১, পুরো গতিতে কাজ চলছে কর্ণফুলী টানেলে। সব শেষে বড় প্রকল্প চলছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। রাজধানী ঢাকা থেকে ১৭৫ কিলোমিটার পশ্চিমে নদীর তীরে অবস্থিত রূপপুরে পারমাণবিক কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে।
মাঝে ছিল নানা প্রতিকূলতা এবং বিশ্ব রাজনৈতিক অস্থিরতা। ফলে কাজ কিছুটা ধীর গতিতে চললেও অবশেষে সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করল পরমাণুর যুগে। রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের চালান গত ৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। ৩৩তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে।বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী বিদ্যুৎ সংকট সমস্যা সমাধান করার লক্ষ্যে ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পে খরচের ৯০ শতাংশ ঋণই দিয়েছে মস্কো। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০২৪ সালে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৬ সালে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উত্পাদন করা যাবে। যার ফলে বাংলাদেশ পৌঁছে যাবে এক অনন্য উচ্চতায়।