
মানচিত্র ডেস্ক | শনিবার, ০২ জুলাই ২০১৬ | 130 বার পঠিত | প্রিন্ট
ছবি- সংগৃহীত
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জিম্মি ঘটনায় কমান্ডো অভিযানে ৫ জন নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, সোয়াত ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে এই অভিযান শুরু হয়। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, প্রথম পর্বের অভিযান প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে। এরপর পুরো পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ জানান, ভেতরে ৫ জন মারা গেছেন। আর ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ও উদ্ধার করা ব্যক্তিদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। উদ্ধার ব্যক্তিদের আপাতত আটক করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আইনশৃংখলা বাহিনী বলছে, উদ্ধার ব্যক্তিরা এই হামলাকারীদের সঙ্গে জড়িত আছে কি না সেটি যাচাই করতে আটক দেখানো হয়েছে। তবে উদ্ধার ব্যক্তিরা নিজেদের আর্টিজান রেস্তোরাঁর কর্মী দাবি করেছেন। এর আগে সকাল পৌনে ৮টায় গুলশানের আর্টিজান রেস্তোরাঁয় র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, সোয়াত ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান শুরু হয়।
গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে ছুড়তে আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ভেতরে ঢুকে পড়েন। এর ১০ মিনিটের মধ্যেই ৫ জনকে বাইরে নিয়ে আসা হয়। পরে আরও এক ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় জানাতে পারেনি। কমান্ডো অভিযানের সময় ভেতরে থাকা জঙ্গিরা আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গ্রেনেড ছোড়ে। এরপর সেখানে মুহুর্মুহু গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। তবে আপাতত গোলাগুলির শব্দ বন্ধ রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার মধ্য রাত থেকেই আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। ভোর ৫টার দিকেই তাদের প্রস্তুতি শেষ হয়। পরে আশপাশে অবস্থান নেয়া সংবাদকর্মীদের পুলিশ নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেয়। সকাল ৭টায় সাতটি সাঁজোয়া যানসহ সেনাবাহিনীর একটি দল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। এরপরই কমান্ডো অভিযান শুরু হয়।
এর আগে শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানের ৭৯ নম্বরের আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ৮ থেকে ১০ জন যুবক অতর্কিত হামলা চালায়। এরপর তারা ওই রেস্তোরাঁয় থাকা লোকজনকে জিম্মি করে। জিম্মিদের মধ্যে অন্তত ২০ জন বিদেশী নাগরিকসহ ৩০-৩৫ জন আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর্টিজান বেকারি নামের ওই রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার কিছুক্ষণ পর পুলিশের অগ্রগামী দলের দুই কর্মকর্তা জঙ্গিদের গুলি ও বোমায় নিহত হন। আহত হন অন্তত ৪০ জন পুলিশ সদস্য।
নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিন। জঙ্গি হামলা চালিয়ে দেশী-বিদেশী নাগরিকদের জিম্মি করার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। একইসঙ্গে তাদের দাবি, এ হামলায় তারা ২০ জনকে হত্যা করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের হামলা চালিয়ে আইএস মানুষকে জিম্মি করলেও বাংলাদেশে এটাই প্রথম।
খবর- যুগান্তর।
Posted ১২:১৮ এএম | শনিবার, ০২ জুলাই ২০১৬
manchitronews.com | humayun kabir