মানচিত্র ডেস্ক | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ৩:২১ অপরাহ্ণ
প্রতীকি ছবি
পুত্রবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন শ্বশুর। এই অভিযোগে তাকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিকের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন শ্বশুর আমির মিয়া। পেশায় মিস্ত্রি ছেলে কাজের জন্য প্রায়ই দূরে থাকেন। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই অপকর্ম করেন আমির মিয়া। আটক আমির মিয়া যশোর সদর উপজেলার সাড়াপোল গ্রামের লেদু মিয়ার ছেলে। জবানবন্দি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জবানবন্দিতে তিনি আরো জানান, তার ছেলে ইব্রাহিম প্রেম করে ভিকটিমকে বিয়ে করে। ছেলে ও পুত্রবধূ ঘরের ভেতরে এবং তারা বাইরে বারান্দায় ঘুমাতেন। বিয়ের পর তার পুত্রবধূ বিভিন্ন সময় তার মোবাইল নিয়ে গেমস খেলতেন ও গান শুনতেন। এসব নিয়ে পুত্রবধূর সাথে বিভিন্ন কথা বার্তা হতো তার। ঈদের পরে একদিন রাতে পুত্রবধূকে আসতে বলেন। রাতে সে আসলে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে ভিকটিম জামরুলতলায় তার খালার বাড়িতে যায়।
পুত্রবধূ ৩১ আগষ্ট তাকে খালার বাড়িতে যেতে বলে। পরে তার খালাদের বিষয়টি জানিয়ে দেন বলে তিনি আদালতকে জানান। এরপরই পুলিশ তাকে আটক করে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ শ্বশুর, স্বামী ইব্রাহিম, শ্বাশুড়ী রহিমার বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালী থানায় মামলা করেছেন ওই পুত্রবধূ।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ৩ মাস আগে সাড়াপোল এলাকার আমির মিয়ার ছেলে ইব্রাহিমের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের এক সপ্তাহের মাথায় তার শ্বশুর জোড়পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে তিনি তার স্বামী ও শাশুড়িকে জানালেও কোনো সাড়া পাননি। পরে একদিন শ্বশুর বলেন তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক না রাখলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে। কিন্তু প্রেম করে বিয়ের বিষয় মেয়ের পরিবারের কেউ মেনে নেইনি বলে তার যাবার কোনো জায়গা ছিলনা। এতে করে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন আমিন মিয়া।