মানচিত্র ডেস্ক | ২৩ নভেম্বর ২০১৯ | ৩:৫৬ অপরাহ্ণ
ছবি সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। রাষ্ট্রদূত মোমেনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন টোকিওর রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
মাসুদ বিন মোমেনের আগে এ দায়িত্ব পালন করেছিলেন বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। শুক্রবার ঢাকার উদ্দেশ্যে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর ছাড়েন মাসুদ বিন মোমেন। তিনি পররাষ্ট্র দফতরে সিনিয়র সচিব হিসেবে যোগ দিচ্ছেন। ৪ বছর আগে টোকিও থেকে বদলি হয়ে নিউইয়র্কে এসেছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে নিউইয়র্কের কুইন্সে একটি রেস্টুরেন্টে বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের গণসংবর্ধনা সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটি।
সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার। সংবর্ধনা সভায় বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটি নেতারা রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের কাজের ভূঁয়সী প্রশংসা করেন। তারা বলেন, জাতিসংঘে চার বছর দায়িত্ব পালনকালে রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সদ্য বিদায়ী স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী ফাহমিদা জাবীন সোমা, নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা বক্তব্য রাখেন।
ইফজাল চৌধুরী ও এএফএম জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পিপল এন টেকের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, খানস টিউটোরিয়ালের চেয়ারপারসন নাঈমা খান, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা মোর্শেদা জামান, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আহসান হাবীব প্রমুখ।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন। সরকারও যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন অনেক বেশি প্রবাসীবান্ধব উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির যে চেষ্টা জাতিসংঘে বিদ্যমান রয়েছে, তা আদায়ের জন্যে প্রবাসীদেরকে সোচ্চার থাকতে হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের আচরণের বিরুদ্ধেও আন্তর্জাতিক বন্ধুদের সরব রাখতে হবে। এজন্য মাঝেমধ্যেই সভা-সেমিনার-সিম্পোজিয়াম-কনসার্টের ব্যবস্থা করতে হবে।